My Review of some movies in Bangla (বাংলা ভাষায় আমার কিছু মুভি রিভিও)
একজন সাধারণ মুভি পাগল দর্শকের দৃষ্টিতে যা দেখলাম ও বুঝলাম তাই তোলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Elenca attività
1083 visualizzazioni
• 0 questa settimanaCrea una nuova lista
Elenca le tue selezioni di film, TV e celebrità.
- 4 titoli
- RegistaOliver HirschbiegelStelleBruno GanzAlexandra Maria LaraUlrich MatthesTraudl Junge, ultima segretaria personale di Adolf Hitler, racconta cosa è accaduto nel bunker di Berlino durante gli ultimi giorni di vita del dittatore Nazista.যা দেখলাম : DOWNFALL (2004)
আমরা সাধারণত বিজয়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে কোন ঘটনার বিবরণ শুনে বা দেখে অভ্যস্ত। পরাজিতদের মূল্যায়ন ইতিহাসে খুব একটা আসে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহও এর ব্যতিক্রম নয়। একে উপজীব্ব করে তৈরী করা বেশির ভাগ চলচিত্রই বিজয়ী পক্ষগুলোর (usa, uk). যেখানে স্বাভাবিক ভাবেই তারা ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। যুদ্ধ করছে অশুভশক্তি জাপান-জার্মান বাহনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু, বিপরীত দৃশ্যটা কেমন? জাপান-জার্মান বাহনী কিসের জন্য যুদ্ধ করছে? তারা কি আমাদের দেখা সিনেমার ট্রিপিকাল “ভিলেন”? খারাপ কাজ করাতেই যাদের মজা! সজ্ঞানে তারা জানে, তারা যা করছে তা খারাপ কাজ। না, তারাও তাদের অবস্থান থেকে একটা আর্দশের জন্য লড়াই করেছে। যদিওবা তাদের আর্দশটা ছিল ভুল। (এখন তা প্রমাণীত কারণ তারা পরাজিত শক্তি) তারচেয়েও বড় কথা, সাধারণ সৈনিক-অফিসার, they just follow the order. যা আসত ভুল আদর্শ দ্বারা বিভ্রান্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। এরকমই একটা পরিবেশের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে “DOWNFALL (original title : Der Untergang)” মুভিটার মাধ্যমে।
হিটলারের জীবনের শেষ দিনগুলোর চিত্রই উঠে এসেছে মুভিটিতে। যেখানে সে তার সঙ্গী-সাখী সহ আশ্রয় নেয় বার্লিনের এক বাঙ্কারে। শহরের উপকন্ঠে এসে হাজির হয় রাশিয়ান রেড আর্মি। রাশিয়ানরা হয়ে যায় আক্রমনকারী আর নাৎসিবাহিনী হয়ে যায় প্রতিরোধকারী। অনেক কিশোর-কিশোরীও সেই প্রতিরোধে সামিল হয়। অন্যদিকে নিয়তির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কিছু করার থাকে না হিটলারের। আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যু নামক নিয়তিকেই শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করে হিটলার এবং তার স্ত্রী ইভা ব্রাউন। রাশিয়ান কামানের গোলার মাঝেই কম্বল জড়িয়ে, পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় তাদের মৃত দেহ।
এরপর শুরু হয় পরাজিত জার্মান সেনা ও অফিসারদের পালায়ন, আত্মসমর্পনের প্রস্তুতি ও আত্মহত্যা। ৩ মিলিয়ন বার্লিনবাসী বেসামরিক লোকদের ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের ভাগ্যের হাতে। তাদের রক্ষক নাৎসি বাহিনীর মন্ত্রী গোয়েবলসের ভাষায় – ‘We didn't force the people. They gave us a mandate. And now they're paying for it.’ হায় রে নেতা! হায় রে রাজনীতি!! - RegistaMark RomanekStelleKeira KnightleyCarey MulliganAndrew GarfieldLe vite di tre amici, dai giorni di scuola all'adolescenza, scoprono il vero motivo della loro esistenza.যা দেখলাম : Never Let Me Go
প্রথমেই আসি বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে। যে কয়েকটি মুভি দেখে আমি সত্যিকার অর্থে বিভ্রান্তির শিকার হয়েছি তাদের মধ্যে Never let me go সাম্প্রতিকতম। বিষয়বস্তু মানব ক্লোনিং। বুঝায় যাচ্ছে সাইন্স ফিকশন টাইপের। আর সাইন্স ফিকশন মানেই আমার ধারণায় ভবিষ্যত কালের চিত্রায়ন। যেখানে থাকে গাড়ির আকাশে উড়া, যন্ত্রমানবের আনাগোনা, এলিয়েন, অবিশ্বাস্য প্রযুক্তির বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপন ইত্যাদি....ইত্যাদি....। যার ফলে যদি বুঝতে পারি মুভিটা সাইন্স ফিকশন তা হলে সেখানে যতই কান্ডকারখানা (নির্মম, নিষ্ঠুর) দেখানো হোক না কেন খুব একটা বিচলিত বোধ করি না।
কিন্তু এই মুভিটার বেলায় মন এমন বিষাদময়তায় আছন্ন হল কেন? প্রথমত, আগে থেকে মুভি ও তার আসল উপন্যাস সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। দ্বিতীয়ত, সময়টা সমসাময়িক (১৯৭৮-৯৪) আর মানব ক্লোনিং অসম্ভব কিছু নয়। তাই মুভির চরিত্রগুলোর (ক্লোন মানব/মানবী) নিষ্ঠুর-করুণ পরিণতি দেখে হঠাৎই মনে হল, এই রকম ঘটনাকি সত্যিই পৃথিবীতে আগে ঘটেছে বা বর্তমানে ঘটছে (!)? দ্বারস্থ হলাম ইন্টারনেট এর। যখন দেখলাম- না! বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটে নাই আর মুভিটা সাইন্স ফিকশন তখন হাফ ছেড়ে বাচঁলাম! চরিত্রগুলোর প্রতি এমন মমত্ববোধ জন্মানোর কারণ কি? তারা অসহায় বলে? নিয়তি পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে না বলে? হয়ত তাই। সেজন্যই The Island মুভির ক্লোনদের প্রতি এত মমতা জাগে না। কারণ তারা বিদ্রোহ করে এবং জয়ী হয়।
গল্পটা যতটা না ক্লোন বিষয়ক তার চেয়েও বেশি প্রাধান্য পেয়েছে যাকে বলে, সোজা বাংলায় ‘ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী’। কিন্তু তারপরও এত ভাল লাগল কেন? কে জানে! কাহিনী আর্বতৃত হয়েছে তিনজন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে যারা আমাদের মত স্বাভাবিক(!) মানুষ নয়। তারা ক্লোন মানব/মানবী। তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে মহান(!) উদ্দেশ্যে। তারা ডোনার। নিজেদের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ডোনেট করাই তাদের জীবনের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ করতে করতেই সমাপ্তি ঘটে তাদের সংক্ষিপ্ত জীবনের। সেই সংক্ষিপ্ত জীবনেও আছে হাসি-কান্নার গল্প। প্রেম-ভালবাসা, পাওয়া-না পাওয়ার অধ্যায়। বেঁচে থাকার আকুতি.....
বি.দ্র. : মিউজিকের কথা উল্লেখ্য না করলে এই মুভিটার প্রতি অবিচারই করা হবে। এমন হৃদয়গ্রাহী মিউজিক খুব কমই শোনার সুযোগ হয়েছে। শুধুমাত্র মিউজিকের কারণেই মুভিটা দুইবার দেখলাম! - RegistaAndrew NiccolStelleJustin TimberlakeAmanda SeyfriedCillian MurphyUn uomo è accusato di omicidio in un futuro dove ognuno smette di invecchiare all'età di 25 anni, ma può continuare a vivere solo se in grado di acquisire nuovi crediti per estendere la propria vita.যা দেখলাম : IN TIME
অদ্ভুত বিষয়বস্তু:। আচ্ছা, এমন একটা সমাজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করা যাক, যেখানে টাকা নেই। বিনিময় মাধ্যম কিংবা কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া যায় সময়। হ্যাঁ ‘সময়’। যার যত বেশি সময় তার তত বেশি বেচেঁ থাকা ও সেবা গ্রহণের সুযোগ আছে। তাই সবারই লক্ষ্য কত বেশি সময় সঞ্চয় করা যায়, কত বেশি দিন বেচেঁ থাকা যায়। ১০০ বছর! ২০০ বছর! কিংবা আক্ষরিকভাবেই অমরত্ব! আবার সময় চুরি কিংবা ছিনতাই হয়ে যাওয়ারও ভয় আছে! এমনই এক কল্পিত চিত্র উঠে এসেছে IN TIME মুভিটিতে।
মুভিটিতে দেখা যায় দুই ধরনের সমাজ ব্যবস্থা। নায়ক Will যে সমাজে বাস করে তা আসলে ক্রীতদাসের সমাজ। দিন আনি দিন খায় অবস্থা। আগামী কালের সূর্য দেখতে চাইলে তাকে আজ অবশ্যই কাজ করে বিনিময়ে সময় সংগ্রহ করতে হবে। তা না হলে মরণ। তাই এখানকার জীবন, মরণের ভয় তারিয়ে বেড়ানোর জীবন। সব সময়ে চোখ চলে যায় ঘড়ির দিকে। সবকিছুই দ্রুত। যাতে অযথা সময়ের অপচয় হয়ে না যায়। প্রত্যেক মিনিট, সেকেন্ড হিসেব করে ব্যয় করা হয়। জ্যানেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংভাবে সবার বয়স ২৫ এ সীমাবদ্ধ করে দেওয়া। এর পর কত বেচেঁ থাকবে তা নির্ভর করে কত সময় আয় করা যায়।
আরেক সমাজ হচ্ছে ধনীদের সমাজ। যাদের ঘড়িতে আছে শতবছরের সময়। জীবন তাদের চলে ধীরে সুস্থে। ক্যাসিনোতে শত বছর বাজি রাখতেও তাদের বাধে না। যে সময় তৈরি হয়েছে গরীবদের শ্রমে। তারা নিজেরা কি না কয়েক সেকেন্ড এর ব্যবধানে নতুন সময় নিতে না পারার কারণে মারে রাস্তায় পরে থাকে। বলা হয়, কিছু মানুষের অমরত্ব পাওয়ার জন্য বেশির ভাগকে মরতে হবে। কিন্তু নায়কের ভাষায়, সবার অমরত্ব পাওয়ার বিনিময়ে যদি একজনকেও অকালে মরতে হয়, তা সে হতে দিবে না। এরপর শুরু হয় নায়কের ধনীর সময় লুট করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার লড়াই। যেখানে সে সঙ্গী হিসেবে পায় এক ধনীর কন্যাকে!! - RegistaRob ReinerStelleJack NicholsonMorgan FreemanSean HayesDue uomini malati terminali scappano da un reparto di cancro e partono per un viaggio con una lista dei desideri di cose da fare prima di morire.যা দেখলাম : The Bucket List
“It's difficult to understand the sum of a person's life. Some people will tell you it's measured by the ones left behind. Some believe it can be measured in faith. Some say by love. Other folks say life has no meaning at all.
Me?
I believe that you measure yourself by the people who measured themselves by you.”
এমন কোন উচ্চমার্গীয় মুভি না। মুভিটা দেখার পর ‘জীবন সম্পর্কে নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি’ টাইপও কিছু না। তারপরও কয়েকটা মারদাঙ্গা মিনিংলেস মুভির পর যখন এমন মুভি দেখা হয়ে যায় তখন নিজের জীবন নিয়েও একটু ভাবনার বিলাসিতা করার ইচ্ছা করে বৈকি! যে জীবনটা যাপন করছি তাতে কি আমি সুখী? আমার চারপাশে যারা আছে আমি কি তাদের সুখের কারণ হতে পারছি? – এসব কি চিন্তা ভাবনা এই মুভি আমার মাথায় ঢোকিয়ে দিল! পরিচিতজন কেউ শুনলে তো চোখ কপালে তুলে বলবে, “আরে ব্যাটা তোর বয়স কত? এখনই জীবন নিয়া দার্শনিকতা ফলাস! হাঁ করলে তো তোর মুখ দিয়া এখনো দুধের গন্ধ বাইর হইব”! কি লজ্জা! কি লজ্জা! তারপরও উপরের বিষয়গুলো আমি ভাবতে চায়। আর এই চাওয়ার কারণ হচ্ছে The Bucket List মুভিটা।
ক্যান্সার আক্রান্ত দুই বুড়োকে নিয়ে মুভির গল্প যাদের আয়ু আছে উর্ধ্বে এক বছর। একজন সাধরান মোটর মেকানিক যে ৪৫ বছর ধরে সংসারের জোয়াল টানতে গিয়ে যৌবনের স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত। আরেকজন সংসার জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারা কোটিপতি ব্যবসায়ী। হাসপাতালের পাশাপাশি বেডে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাদের পরিচয় ও বন্ধুত্ব। যদিও প্রথম দেখায় তাদের পরস্পরকে বলা বাক্যটি ছিল – Who the hell are you?!
নিজেদের নিয়তি জেনে যাবার পর তারা কি করতে চায় যা কখনো করা হয় নি তার একটা তালিকা তৈরি করে। যার নাম দেয় ‘The Bucket List’. কারণ Kick the bucket (মারা যাওয়া) করার পূর্বেই এই লিস্টের কাজগুলো তারা সম্পন্ন করতে চায়। সেই উদ্দেশ্যেই দুই বন্ধু বেড়িয়ে পড়ে পৃখিবীর পথে। পারবে কি তারা সেই লিস্ট সম্পন্ন করতে?
জীবন সম্পর্কে ভাবনার খোরাক জোগানো এই অনবদ্য মুভিটার উপরি পাওনা জ্যাক নিকলসন এর অভিনয়। এখন আমার কাছে তার অভিনিত প্রিয় মুভির কথা বললে ‘One Flew Over the Cuckoo's Nest’ এর পরই থাকবে এই মুভির নাম। এই ব্যাপারে আমি মোটামোটি নিশ্চিত।